"নীল দর্পণ" নাটকটি দেখতে এসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কেন মঞ্চে জুতা ছুড়ে মেরেছিলেন?
নীল দর্পণ নাটক বাংলার পেশাদার থিয়েটার গড়ার ক্ষেত্রেও অবদান রেখেছিল। এই নাটক দিয়ে প্রভাবিত হয়েই গীরিশচন্দ্র ঘোষ কোলকাতায় ন্যাশনাল থিয়েটার গঠন করেন এবং নীল দর্পণই প্রথম বানিজ্যিকভাবে প্রদর্শিত হয়। এই নাটকের প্রদর্শনীতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও উপস্থিত ছিলেন দর্শক হিসাবে। আবেগী এবং মেজাজী লোক ছিলেন তিনি। সাহেব সুবোদের গ্রাহ্যের মধ্যেই নিতেন না। অপমানের প্রতিশোধ নেবার জন্য এক ইংরেজ অধ্যক্ষ্যের সামনে টেবিলে পা তুলে দিয়ে কথাও বলেছিলেন একবার। কারণ, ওই অধ্যক্ষ বৃটিশ হবার গরিমায় ঈশ্বরচন্দ্রের সাথে একই আচরণ করেছিলেন। নাটকের মূল চরিত্র উডের ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন শক্তিমান অভিনেতা অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফি। নীল চাষীদের উপর তাঁর অত্যাচারের অভিনয় দেখে বিদ্যাসাগর এতই ক্ষিপ্ত হয়ে ছিলেন যে, পায়ের জুতো খুলে ছুঁড়ে মেরেছিলেন অর্ধেন্দুর গায়ে। তিনিও তাঁর অভিনয়ের পুরস্কার হিসাবে সেই জুতোকে তুলে নিয়েছিলেন স্মারক হিসাবে।
(Collected)
তাই বলে জুতা নিক্ষেপ করে একজন অভিনেতা কে ছোট করা নয় কি?
উত্তরমুছুনব্যাপার টা তেমন নয়। ইংরেজরা এ দেশের মানুষদের এতই নির্যাতন করেছিলো যা তখন নাটকে দেখানো হয়েছিলো অত্যাচার দেখা সহ্য করতে না পেরে বিদ্যাসাগর অত্যাচারীর উপর জুতা মারেন, একজন শিল্পীকে নয়।
মুছুনভালো! আরএকটু ডিটেইলস হলে আরও ভালো হতো।
উত্তরমুছুনমাহামুদুল হাসান নামের অর্থ কি
উত্তরমুছুনসুন্দর, প্রশংশিত।
মুছুনআমি ও প্রথমে ভুল বুঝছি যে কেনো জুতা মারলো।এখন ব্যাপারটা ক্লিয়ার হলাম।
উত্তরমুছুনযাঁরা অভিনয় করেন, তাঁরা বুঝবেন এটা কত বড়ো সফলাতা। একটি অন্য চরিত্র জীবন্ত করে তোলা শিল্পীর শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।
উত্তরমুছুনদুরু মিয়া....একটা হলো জুতা খোলে সন্মান প্রদশন করা। আরেটা হলো জুতা ছুড়ে মেরে তিরস্কার করা...দুইটা এক নাকি?🙄🙄
মুছুনঅভিনেতাকে স্যালুট...!
উত্তরমুছুনএতদিন পর ভুল ভাঙল
উত্তরমুছুনবাংলা গদ্যের জনক বিদ্যাসাগর জুতা খুলে ছুঁড়ে মেরেছেন--- শুনে যেমনটা ভয়ংকর ভাবনা আসে, বাস্তবে তো অভিনয়ের প্রশংসার পুরস্কার ছিল, তার ভুল ভাঙ্গল।
উত্তরমুছুন