পোস্টগুলি

Dr.MD.Mehedi Hasan

ছবি
Bismillahir Rahmanir Rahim I am Dr. Mehedi Hasan , a dedicated physician and public health researcher, currently serving as a Medical Officer at Khanjanpur Samajik Shastho Sheba Kendra , Joypurhat. I specialize in ophthalmology and diabetes care , with a strong commitment to community-based preventive health services. I obtained my MBBS degree from Rangpur Community Medical College under Rajshahi University and am currently pursuing a Master of Public Health (MPH) with a major in Community Medicine. My areas of interest include childhood vision problems, chronic disease prevention, and community health education. In addition to my clinical practice, I have been involved in academic training and public health research. I previously worked as a Medical Officer at Rangpur Community Medical College Hospital , and served as a Research Physician in a collaborative project conducted at Rangpur Medical College , jointly organized by the Toxicology Society of Bangladesh and the Univer...

প্রফুল্ল চাকী

ছবি
কলকাতার   বিবাদীবাগে   প্রফুল্ল চাকীর প্রতিমূর্তি ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী ছিলেন। পূর্ববঙ্গে জন্ম নেওয়া এই বাঙালি বিপ্লবী তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং জীবন বিসর্জন করেন প্রফুল্ল চাকী। জন্মঃ ডিসেম্বর ১০, ১৮৮৮ বগুড়া জেলা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) মৃত্যুঃ ২ মে, ১৯০৮ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত বগুড়া জেলার বিহার গ্রামে। ছোটবেলায় তাকে বগুড়ার ‘নামুজা জ্ঞানদা প্রসাদ মধ্য বিদ্যালয়ে’ ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে তিনি বগুড়ার মাইনর স্কুলে ভর্তি হন। ১৯০২ সালে রংপুর জিলা স্কুলে শ্রেণিতে ভর্তি হন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় পূর্ব বঙ্গ সরকারের কারলিসল সার্কুলারের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের দায়ে তাকে রংপুর জিলা স্কুল হতে বহিস্কার করা হয়। এরপর তিনি রংপুরের কৈলাস রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে পড়ার সময় জীতেন্দ্রনারায়ণ রায়, অবিনাশ চক্রবর্তী, ঈশান চন্দ্র চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বিপ্লবীর ...

দেওয়ান চাঁদ মালিক: র-এর অভ্যন্তরে বাংলাদেশী স্পাই!

ছবি
  বিদেশী স্পাইদের কাহিনী তো অনেক শুনেছেন। এক বাংলাদেশী স্পাইর কাহিনী শুনবেন? তার নাম দিওয়ান চাঁদ মল্লিক। অথবা দেওয়ান চাঁদ মালিক। ইংরেজিতে বানান কোথাও Diwan Chand Mallick, কোথাও Dewanchand Malik। তার জন্ম বাংলাদেশে, কিন্তু তিনি পড়াশোনা করেছেন কলকাতায়। এবং পড়াশোনা শেষে ১৯৯৯ সালে তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা R&AW তথা Research and Analysis Wing-এ যোগ দেন। কোনো দেশের বৈদেশিক গুপ্তচর সংস্থায় সাধারণত ভিনদেশী কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় না। তাই স্বভাবতই তিনি কাগজপত্র জালিয়াতি করে নিজেকে ভারতীয় দাবি করে এই চাকরিতে প্রবেশ করেন। র-তে দেওয়ান চাঁদ মালিক দ্রুত উন্নতি করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি র-এর RAW’s Aviation Research Centre (ARC)-এর একজন ফার্স্ট ক্লাস অফিসার হিসেবে কলকাতায় নিয়োগ পান। এ সময় ভারতের বিপুল পরিমাণ উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তার হাতের উপর দিয়েই আসা-যাওয়া করত। কিন্তু ২০০৫ সালে হঠাৎ করেই তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। ধারণা করা হয়, পরকীয়ার কারণে তার স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ফলে তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে ডিভোর্সের মামলা করে বসেন। এক বর্ণনা অনুযায়ী এ সময়...

বাংলাদেশী বীরঃক্যাপ্টেন সাইফুল আজম

ছবি
​              ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব আরও একজন বংলাদেশী সুপারহিরোর সাথে।  ইসরাইলের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যুদ্ধ বিমানকে ভুপাতিত করার রেকর্ডটা ৪৮ বছর যাবৎ উনার দখলে! ভদ্রলোক চারটি পৃথক দেশের বিমান বাহিনীকে সার্ভিস দিয়েছেন, তিনটি ভিন্ন দেশের হয়ে যুদ্ধ করে শত্রুপক্ষের বিমান ধ্বংশ করেছেন এবং তিনটি দেশ থেকেবীরত্বসূচক খেতাব পেয়েছেন! এটাও একটা বিশ্ব রেকর্ড! যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উনাকে পৃথিবীর জীবিত ২২ জন 'লিভিং ঈগল' হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে!  ২০২০ সালের ১৪ই জুন ১৩:০০ টায় Combined Military Hospital, Dhaka ৭৮ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমরা ক'জন তাঁকে চিনি? কিন্তু সাইফুল আজমদের উপেক্ষা করি, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ কখনো বীর হবার উৎসাহ না পায়। সাইফুল আজমের জন্ম ১৯৪১ সালে খাগড়বাড়িয়া গ্রাম, পাবনা, রাজশাহী, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)। আজ তার জন্মদিন। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পর ১৯৫৬ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তান যান। ১৯৬০ সালে তিনি জিডি পাইলট ব্রাঞ্চের একজন পাইলট হন। জুন ৬ , ১৯৬৭। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ ...

ইধার শো রাহা হ্যায় এক গাদ্দার

ছবি
  বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান "ইধার সো রাহা হ্যায় এক গাদ্দার" পাকিস্তানের করাচীর মাসরুর বেসের চতুর্থ শ্রেণীর কবরস্থানে নিতান্তই অযত্নে আর অবহেলায় ফেলে রাখা একটা কবরের সামনে লেখা ছিল কথাটি। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে করাচির মশরুর বিমানঘাঁটিতে শিক্ষার্থী মিনহাজ রশীদের কাছ থেকে টি-৩৩ প্রশিক্ষণ বিমান করায়ত্ত করে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন তিনি। তবে ভারতীয় সীমান্তের ৩৫ মাইল দূরে থাট্টায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তার মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধ মাইল দূরে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মতিউর রহমান ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে ছিলেন। ২৯ অক্টোবর ১৯৪১ সালে তিনি জন্মেছিলেন পুরনো ঢাকার ১০৯, আগা সাদেক রোডে। এই মহান বীরের বাবা মৌলভী আবদুস সামাদ এবং মা সৈয়দা মোবারকুন্নেসা খাতুন। ১৯৬১ সালে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৬৩ সালে রিসালপুর পি,এ,এফ কলেজ থেকে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। কমিশন প্রাপ্ত হবার পর তিনি করাচির মৌরিপুর (বর্তমান মাসরুর) এয়ার বেজ এর ২ নম্বর স্কোয়াডরনে জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসাবে নিযুক্ত হন।...

নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কেন গোপাল ভাঁড়কে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছিলেন?

ছবি
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কেন গোপাল ভাঁড়কে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছিলেন ? ইতিহাস ভুলে যায় ইতিহাসকে, ইতিহাস হারিয়ে যায় ইতিহাসে। ইন্ডিয়া সাব কন্টিনেন্ট_-১ হাস্যরসিক গোপাল ভাঁড়ের নাম শুনেনি পৃথিবীতে এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। Sonny Aath কর্তৃক প্রচারিত কার্টুন অথবা বায়োবৃদ্ধদের মুখে শোনা গল্পগুজবের মাধ্যমে গোপাল ভাঁড়কে চেনা। আবার কেউবা তার অস্তিত্বের সঠিক ইতিহাস ঘেটে তার নামযশ ও ভাড়ামি সম্বন্ধে অবগত। তিনি কৃষ্ণনগরের(পশ্চিমবঙ্গের অধিভুক্ত ঐতিহাসিক স্থান) রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদ ছিলেন। অত্যন্ত রসিক মানুষ ছিলেন বলে তৎকালীন সময়ে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবার প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন গোপাল। তিনি কবি ছিলেন। মিলানসাগর নামক তার কবিতা আছে। ভাঁড়ামি আর বুদ্ধির খেল দেখিয়ে তিনি রাজপ্রাসাদের সবার মন জয় করেছিলেন।মোটকথা, কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভা ও কৃষ্ণনগরের জনগনের যাবতীয় বিনোদনের আস্ত এক ভান্ডার ছিলেন বুদ্ধিমান গোপাল। কিন্তু এত প্রিয় মানুষ হয়েও এই বাংলাতে তার ঠাই হয়নি। সাল টা ছিল ১৭৫৭। তরুণ নবাব সিরাজ তখন বাংলা প্রেসিডেন্সি(বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ),বিহার ও উড়িষ্যার নবাবি করতেন। তখন মীর জাফর, ঘষ...

'নিরঙ্কুশ' শব্দটি কীভাবে এসেছে

আমরা বলি নিরঙ্কুশ বিজয়। এই 'নিরঙ্কুশ' শব্দটি কীভাবে এসেছে? কাঁশবন বা কাঁশ- এর বিস্তীর্ণ মাঠ। এমনটা দেখেছেন নিশ্চয়?  তো এই কাঁশ যখন ছোট্ট(অর্থাৎ যখন মাটি থেকে প্রায় কয়েক ইঞ্চি উচু থাকে) থাকে তখন এর আগা সূঁচালো হয়- কাঁশকে এই অবস্থায় অঙ্কুশ বলে।এবং এসময় কাঁশবনে( বা ক্ষেত যাই বলুন) খালি পায়ে হাঁটা অত্যন্ত কষ্টকর, পায়ে সূঁচ ফুটানোর মতো ব্যথা লাগে।অঙ্কুশের পূর্বে 'নির' ( না বা নাই অর্থে)উপসর্গ যুক্ত হয়ে নিরঙ্কুশ শব্দটি গঠিত হয়েছে যা সাধারণত কষ্টহীন বা সহজসাধ্য অর্থে ব্যবহৃত হয়।