পোস্টগুলি

2021 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দেওয়ান চাঁদ মালিক: র-এর অভ্যন্তরে বাংলাদেশী স্পাই!

ছবি
  বিদেশী স্পাইদের কাহিনী তো অনেক শুনেছেন। এক বাংলাদেশী স্পাইর কাহিনী শুনবেন? তার নাম দিওয়ান চাঁদ মল্লিক। অথবা দেওয়ান চাঁদ মালিক। ইংরেজিতে বানান কোথাও Diwan Chand Mallick, কোথাও Dewanchand Malik। তার জন্ম বাংলাদেশে, কিন্তু তিনি পড়াশোনা করেছেন কলকাতায়। এবং পড়াশোনা শেষে ১৯৯৯ সালে তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা R&AW তথা Research and Analysis Wing-এ যোগ দেন। কোনো দেশের বৈদেশিক গুপ্তচর সংস্থায় সাধারণত ভিনদেশী কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় না। তাই স্বভাবতই তিনি কাগজপত্র জালিয়াতি করে নিজেকে ভারতীয় দাবি করে এই চাকরিতে প্রবেশ করেন। র-তে দেওয়ান চাঁদ মালিক দ্রুত উন্নতি করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি র-এর RAW’s Aviation Research Centre (ARC)-এর একজন ফার্স্ট ক্লাস অফিসার হিসেবে কলকাতায় নিয়োগ পান। এ সময় ভারতের বিপুল পরিমাণ উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তার হাতের উপর দিয়েই আসা-যাওয়া করত। কিন্তু ২০০৫ সালে হঠাৎ করেই তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। ধারণা করা হয়, পরকীয়ার কারণে তার স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ফলে তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে ডিভোর্সের মামলা করে বসেন। এক বর্ণনা অনুযায়ী এ সময়...

বাংলাদেশী বীরঃক্যাপ্টেন সাইফুল আজম

ছবি
​              ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব আরও একজন বংলাদেশী সুপারহিরোর সাথে।  ইসরাইলের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যুদ্ধ বিমানকে ভুপাতিত করার রেকর্ডটা ৪৮ বছর যাবৎ উনার দখলে! ভদ্রলোক চারটি পৃথক দেশের বিমান বাহিনীকে সার্ভিস দিয়েছেন, তিনটি ভিন্ন দেশের হয়ে যুদ্ধ করে শত্রুপক্ষের বিমান ধ্বংশ করেছেন এবং তিনটি দেশ থেকেবীরত্বসূচক খেতাব পেয়েছেন! এটাও একটা বিশ্ব রেকর্ড! যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উনাকে পৃথিবীর জীবিত ২২ জন 'লিভিং ঈগল' হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে!  ২০২০ সালের ১৪ই জুন ১৩:০০ টায় Combined Military Hospital, Dhaka ৭৮ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমরা ক'জন তাঁকে চিনি? কিন্তু সাইফুল আজমদের উপেক্ষা করি, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ কখনো বীর হবার উৎসাহ না পায়। সাইফুল আজমের জন্ম ১৯৪১ সালে খাগড়বাড়িয়া গ্রাম, পাবনা, রাজশাহী, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)। আজ তার জন্মদিন। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পর ১৯৫৬ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তান যান। ১৯৬০ সালে তিনি জিডি পাইলট ব্রাঞ্চের একজন পাইলট হন। জুন ৬ , ১৯৬৭। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ ...

ইধার শো রাহা হ্যায় এক গাদ্দার

ছবি
  বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান "ইধার সো রাহা হ্যায় এক গাদ্দার" পাকিস্তানের করাচীর মাসরুর বেসের চতুর্থ শ্রেণীর কবরস্থানে নিতান্তই অযত্নে আর অবহেলায় ফেলে রাখা একটা কবরের সামনে লেখা ছিল কথাটি। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে করাচির মশরুর বিমানঘাঁটিতে শিক্ষার্থী মিনহাজ রশীদের কাছ থেকে টি-৩৩ প্রশিক্ষণ বিমান করায়ত্ত করে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন তিনি। তবে ভারতীয় সীমান্তের ৩৫ মাইল দূরে থাট্টায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তার মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধ মাইল দূরে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মতিউর রহমান ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে ছিলেন। ২৯ অক্টোবর ১৯৪১ সালে তিনি জন্মেছিলেন পুরনো ঢাকার ১০৯, আগা সাদেক রোডে। এই মহান বীরের বাবা মৌলভী আবদুস সামাদ এবং মা সৈয়দা মোবারকুন্নেসা খাতুন। ১৯৬১ সালে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৬৩ সালে রিসালপুর পি,এ,এফ কলেজ থেকে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। কমিশন প্রাপ্ত হবার পর তিনি করাচির মৌরিপুর (বর্তমান মাসরুর) এয়ার বেজ এর ২ নম্বর স্কোয়াডরনে জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসাবে নিযুক্ত হন।...